সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯, যা ২০০২-এ সংশোধনীপূর্বক সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী ৫ বছর পর পর দাখিলের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২২ সেপ্টেম্বর তারিখের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করে। পরবর্তীতে গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে পুনরায় ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে সম্পদ হিসাব বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সম্পদের হিসাব বিবরণী কি?
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের সম্পদের বিস্তারিত তালিকা নির্ধারিত ছকের মাধ্যমে থাকতে হবে। সম্পদের প্রকার, অর্জনের তারিখ, মূল্য, অবস্থান তথ্য উল্লেখ থাকে। দুর্নীতি রোধে এ ব্যবস্থা চালু করছে। এখন থেকে প্রতিবছর সম্পদের হিসাব দাখিল করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ?
সাধারণত আমাদের সম্পত্তি দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে : ১. স্থাবর ২. অস্থাবর। যে সম্পদ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় না তা স্থাবর সম্পদ। যেমন: জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি। অস্থাবর সম্পদ হলো অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় যেমন: মোটরসাইকেল, অলঙ্কার, ব্যাংকের জমা টাকা, শেয়ার কাজ ইত্যাদি।
আমরা কোথায় সম্পদ বিবরণ দিব?
১. সরকারি কর্মচারীদের জন্য তার সংশ্লিষ্ট কার্যালয়।
২. ক্যাডার বা নন-ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তা তার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে সম্পদ বিবরণী প্রেরণ করবেন।
৩. কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা (১০ম থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিল করবেন।
৪. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে এবং ছকটি সিলগালাকৃত খামে জমা দিতে হবে।
সম্পদের হিসাব বিবরণীতে সাধারণত কী কী তথ্য থাকে?
১. ব্যক্তিগত তথ্য: নাম, ঠিকানা, জাতীয়তা ইত্যাদি।
২. সম্পদের ধরন: স্থাবর সম্পদ (জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি) এবং অস্থাবর সম্পদ (গাড়ি, ব্যাংকের জমা, শেয়ার)
৩. অর্জনের তারিখ: সম্পদ কখন অর্জিত হয়েছিল।
৪. মূল্য: সম্পদের বর্তমান মূল্য বা অর্জনের সময় মূল্য।
৫. অবস্থান: সম্পদের অবস্থান।
৬. অর্জনের উৎস: সম্পদ কীভাবে অর্জিত হয়েছিল।
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সম্পদের হিসাব বিবরণী ফরম ২০২৪ ডাউনলোড করে ফেলুন : ফরম