বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি ও নিয়মাবলী
বিসিএস পরীক্ষা অথবা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা যা সারা দেশব্যাপী পরিচালিত প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত পরীক্ষা পদ্ধতি। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক এর পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালক করে থাকে। বর্তমানে ২৬ টি ক্যাডারের নিয়োগের লক্ষ্যে বিসিএস থেকে সুপারিশ করা হয়। ২ ধরণের ক্যাডার রয়েছে। একটি সাধারণ ক্যাডার। যেমন প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র, কর ইত্যাদি সাধারণ ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত। অন্যটি কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডার। যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক কারিগরি ক্যাডার। বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি ও নিয়মাবলী আলোচনা করা হলো:
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর চার বছরের অনার্স পাস হলে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করা যাবে। কেউ যদি তিন বছরের অনার্স বা পাস কোর্সে পড়ে তাহলে তাকে অবশ্যই মাস্টার্স পাস হতে হবে। শিক্ষা জীবনে একের অধিক তৃতীয় শ্রেণি থাকলে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বিসিএস পরীক্ষার ৩টি ধাপ রয়েছে:
১. প্রিলিমিনারী পরীক্ষা
২. লিখিত পরীক্ষা
৩. ভাইভা পরীক্ষা
প্রথম পর্যায়: প্রিলিমীনারী পরীক্ষা
২০০ মার্কের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের ৪টি অপশন থাকে। যেকোনো একটি উত্তর দিতে হবে। ওএমআর শীটে সঠিক বৃত্ত ভরাট করতে হবে। প্রতিটির জন্য মান ১। ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ জরিমানা দিতে হবে। নেগেটিভ মার্কিং রয়েছে। প্রিলিমানারী পরীক্ষার বিষয় ও মানবন্টন:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য |
৩৫ |
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য |
৩৫ |
বাংলাদেশ বিষয় |
৩০ |
আর্ন্তজাতিক বিষয় |
২০ |
ভূগোল,পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা |
১০ |
সাধারণ বিজ্ঞান |
১৫ |
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি |
১৫ |
গাণিতিক যুক্তি |
১৫ |
মানসিক দক্ষতা |
১৫ |
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন |
১০ |
মোট নম্বর |
২০০ |
দ্বিতীয় পর্যায়: লিখিত পরীক্ষা
বিসিএস এর প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দুই থেকে তিন মান পর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বমোট ৯০০ নম্বরের লিখিত ও প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য অতিরিক্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় শতকলা ৫০ ভাল নম্বর পেলে সাধারণত প্রার্থী ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সুযোগ থাকে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ২০১৪ অনুসারে ৯টি বিষয়ে পরীক্ষা অবশ্যই দিতে হবে:
- সাধারণ বাংলা (১ম ও ২য় পত্র) – ২০০ নম্বর
- সাধারণ ইংরেজি (১ম ও ২য় পত্র) – ২০০ নম্বর
- বাংলাদেশ বিষয় (১ম ও ২য় পত্র) – ২০০ নম্বর
- আন্তর্জাতিক বিষয় – ১০০ নম্বর
- গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা – ১০০ নম্বর
- সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি – ১০০ নম্বর
প্রফেশনাল ক্যাডার
- সাধারণ বাংলা – ১০০ নম্বর
- সাধারণ ইংরেজি (১ম ও ২য়) – ২০০ নম্বর
- বাংলাদেশ বিষয় (১ম ও ২য়) – ২০০ নম্বর
- আন্তর্জাতিক বিষয় – ১০০ নম্বর
- গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা – ১০০ নম্বর
- দুটি কাগজপত্র জন্য পোস্ট সম্পর্কিত বিষয় – ২০০ নম্বর
তৃতীয় ধাপ: মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়, মৌখিক পরীক্ষা ২০০ নম্বরের অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
সর্বশেষ:
প্রার্থীদের আবেদন ফরমের পছন্দক্রম অনুযায়ী ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়ে থাকে।